Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোয়ালন্দে মরা পদ্মা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন

ভাঙন ঝুঁকিতে কয়েক শত পরিবার

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২২, ১২:২৬ পিএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট মরা পদ্মা থেকে অবৈধ। ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের মহাউৎস শুরু করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এসব বালু ও মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ওই মহল। এতে নদীর দু পাশে থাকা কয়েকটি গ্রামে কয়েক শত পরিবারের ঘরবাড়ি, রাস্তা ঘাট,স্কুল, মসজিদ ও ফসলি জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোন সময় নদীতে বিলিন হতে পারে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ক্যানালঘাট এলাকার
ওমর আলী মোল্লা পাড়া ও কলাবাগান এলাকায় এবং গফুর মন্ডল পাড়ার সামনে হতে মাল্লাপট্রি ব্রীজ পর্যন্ত মরা পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে অবাধে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ওই প্রভাবশালী চক্র। এদিকে ইদ্রিস পাড়ার মাঝে মরা পদ্মা নদীতে তিন মাস যাবৎ অবাধে বাংলা ড্রেজিং মেশিন দিয়ে মাটিওবালু উত্তোলন করে তাহা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে কাদের ফকির নামে এক ব্যাক্তি। অন্য দিকে দেব গ্রাম আতরের বাজারে পাশে মরা পদ্মায় বাংলা ড্রেজিং মেশিন দিয়ে অবাধে মাটি ও বালু তুলে বিক্রি করছে মিনু নামে এক মাটি খোকো এবং ক্যানাল ঘাট এলাকা গফুর মন্ডল পাড়ায় দুই মাস ধরে মরা পদ্মায় দুটি বাংলা ড্রেজিং মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে মাটি খেকো লোকমান ও আবজাল। নদীর দু পাড় ঘেসে যে সকল পরিবার গুলো বসবাস করছে তাদের বাড়ী ঘর কয়েক বার নদী গর্ভে চলে যাবার পর এখনে এসে বাড়ী ঘর করে কোন রকম বসবাস করছে। এখন যে ভাবে মরা পদ্মায় ড্রেজিং করে মাটি উত্তোলন করছে তাতে যে কোন সময় রাস্তসহ বাড়ী ঘর নদী গর্ভে চলে যাবে।এলাকা বাসী তাদেরকে বার বার মাটি উত্তোলনে নিষেধ করলে তারা শুনে না বরং উল্টে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখানো হয়। পদ্মা পাড়ের মাটি খেকোদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে কেউ সাহস করে না। তারা সরকারী কাজের নাম করে অবৈধ ভাবে বাংলা ড্রেজিং মেশিন দিয়ে মরা পদ্মা নদী থেকে অবাধে মাটি কেটে বিক্রি করছে।
স্থানীয়রা জানান,এই মরা পদ্মা নদী এখন বড় পদ্মা নদীর চেয়ে বেশি গভীর হয়েছে। কয়েক মাস ধরে মরা পদ্মা নদী থেকে কাদের ফকির ড্রেজিং মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করায় এই নদী এখন বড় নদীর চেয়ে বেশি গভীর হয়েছে। সে কারো কথা মানে না। মাঝে মধ্যে দেখি অভিযান এসে পাইপ ভেঙ্গে দেওয়ার কিছুদিন পরই আবার দেখি চলছে ড্রেজিং মেশিন।এই মরা পদ্মা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে বালু উত্তোলন করে চলেছে বেপারী পাড়ার কাদের,দেবগ্রামের মিনু, ক্যানাল ঘাটের আবজাল, হারুন,ইসলাম,জিয়া, আইনদ্দিন পাড়ার ইসমাইল অবাধে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। যদি এই অবৈধ ড্রেজিং মেশিন বন্ধ না করা হলে এই দুটি গ্রামসহ রাস্তাঘাট, মসজি , মাদ্ররাসা ,স্কুল ও আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে যাবে। আমাদের ক্ষতি হলে তাদের কিছুই যায় আসে না।
ওমর আলী মোল্লা পাড়ায় বসবাসকারী মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, এই ড্রেজিং মেশিন দিয়ে মাটি কাটায় নদী বহু ডিপ হয়েছে । এই ড্রেজিং মেশিনটি চলছে তিন মাস ধরে বর্ষার সময় যদি নদীতে স্রোত শুরু হলে প্রথমেই আমার বাড়ীটি ধসে পড়বে। তার পরে নদীর স্রোতে এক টানে গ্রাম শেষ হয়ে যাবে। কাদের ফকির দেশের ক্ষতি করছে। সরকারী রাস্তার কাজের কথা বলে কাদের মাটির ব্যবসা করে যাচ্ছে। রাস্তার কাজ হয়ে গেছে বহু আগেই তাও তারা বলে রাস্তার কাজ করছি আসলে তারা মাটি অন্য জায়গায় বিক্রি করছে।
ইদ্রিস পাড়ায় বসবাসকারী মোছা. রওসনারা বেগম বলেন, বছর দুয়েক আগে নদীতে আমাদের বাড়ী ঘর ভিটা মাটি নদীতে চলে যাবার পর এখানে এসে বাড়ীঘর করেছি। যে ভাবে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে তাতে আবার ও আমাদের বাড়ী ঘর নদীতে চলে যাবে।
অবৈধ ড্রেজিং মালিক কাদের ফকির বলেন,আমি তিন মাস যাবৎ ড্রেজিং মেশিন চালাচ্ছি।উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে কোন অনুমতি আনা হয়নি। এটা আমি করতে পারি নাই এটা চেয়ারম্যান জানে।
গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারি (ভূমি) মো.আশরাফুল রহমান বলেন,মরা পদ্মার ড্রেজিংতো এটা বলতে পারেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের একচেঞ্জ মহাদয় উর্নি ।আসলে আমি এ ব্যাপারে এখনো জেনে উঠতে পারি নাই। পানি উন্নয়ন বোর্ড এরা ভালো বলতে পারবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অংকুর বলেন, আমাদের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি।জেলা প্রশাসক এর সাথে আলাপ করে মোবাইল কোর্ট করতে হবে। আমরা তো অভিযান করি না। অভিযান করে জেলা প্রশাসক । প্রশাসনিক ক্ষমতা তাদের হাতে, আমাদের হাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->